| Lalmonirhat News |
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা দলিল লেখক সমিতি সেখানকার সাব রেজিস্ট্রার রহমত উল্লাহ্ লতিফের বিরুদ্ধে ঘুষ, দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ও অপসারনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সাব রেজিষ্ট্রার অফিস চত্বরে সমিতির সভাপতি জালাল উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা উপজেলার বিভিন্ন ইলিক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে দুর্নীতিবাজ উক্ত সাব রেজিষ্ট্রার এর বিভিন্ন দূর্নীতির ব্যাখ্যা করে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলিল লেখক সমিতির সম্পাদক আঃকাইয়ুম।
তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ্যকরেন ২০১৮ সালের জন্য দলিল লেখকদের লাইসেন্স নবায়নে ৬৩ জনের নিকট থেকে ২ হাজার টাকা ঘুষ হিসাবে ১ লক্ষ্য ২৬ হাজার টাকা আদায়। জন্ম সনদ ও জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই বাচাই সহ বিভিন্ন অজুহাতে নির্ধারিত সময় কালক্ষেপন করে হয়রানীসহ ক্রেতা বিক্রেতাদের নিকট থেকে বিভিন্ন অংকে টাকা ঘুষ আদায়ের মাধ্যমে দলিল সম্পাদন, লেখকদের ত্রুটিবিচ্যুতি সংশোধন না করে অসম্মানজনক আচারনের মাধ্যমে লেখা ষ্ট্যাম্প কেটে দিয়ে লেখদেরকে অফিস থেকে বেড় করে দেওয়াসহ সংখ্যা অভিযোগ উল্লেখ করেন।
তিনি তার বক্তব্যে সাব রেজিস্ট্রার রহমত উল্লাহ্ লতিফকে দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আখ্যা দিয়ে বলেন, বিগত দিনে অসংখ্য সাব-রেজিস্ট্রার কর্মস্থলে ছিলেন। বর্তমানে কর্মরত সাব রেজিষ্ট্রার কাজ কর্মের ক্ষেত্রে তার চেয়ে বয়োজেষ্ঠ ও দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ দলিল লেখকদেরকে সামান্য ভুলেও অসদাচরন ও সম্মানহানী করতে কুন্ঠাবোধ করেন না।
তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর অনলাইনে সার্চ করলে আসল তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু তা না করে সাধারণ লোকজনের সঠিক পরিচয় পত্র নির্নয়ের ক্ষেত্রে মানুষের ভোগান্তি বাড়ায়। এছারাও খোদ্দ বিছনদই, উত্তর ডাউয়াবাড়িসহ ১৬টি মৌজার নাম উল্লেখ করে বলেন, ওই সব মৌজা সমূহের দলিল রেজিস্ট্রি করার নিয়ম থাকলেও তিনি তা করছেন না। ফলে একদিকে জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে অপরদিকে সরকার বিপুল পরিমানের রাজস্ব হারাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহা পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট উবর্ধতন কতৃপক্ষের বরারবরে উক্ত সাব রেজিষ্ট্রারের অপসারণ দাবী করে আবেদন করেন দলিল লেখক ও এলাকাবাসী।
সংবাদ সম্মেলনে পাটগ্রাম উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আব্দুল কাদের,হাতীবান্ধা সাবেক সম্পাদক কবির হোসেন, আবুল কাশেম সহ সভাপতি আঃ হান্নানসহ সকল দলিল লেখকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Post a Comment