গর্ভবতী মায়ের মন খারাপ করলে, ভবিষ্যতে সন্তান নিয়ে ঝামেলা হবে | The Daily Human


Pregnant

গর্ভবতী মা কেমন আছেন? সন্তান যখন গর্ভে, তখন মায়ের মন খারাপ থাকলে কিন্ত্ত বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। সন্তানের বড়ো হওয়ার সময় নিয়ে হবে বাড়তি ঝক্কি। ভুগতে হবে সারা জীবন। কারণ মায়ের মন ভালো না থাকলে, পেটের ভিতরে সন্তানও ভালো থাকে না। মায়ের কষ্ট হলে, সন্তানও মনো কষ্টে ভোগে। শুধু তাই নয়, জন্মের পর সেই সন্তানের লাগাতার অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালিন মায়ের মনের হালের উপরই নির্ভর করে সদ্যোজাতের ভবিষ্যতের সুস্থতা এবং মসৃণভাবে বড় হওয়া।
বিশাখাপত্তনমের অন্ধ্র মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী শশাঙ্ক ক্রালেটি ও তাঁর দলবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ নিয়ে যুগান্তকারী গবেষণা করেছেন। বর্তমানে তিনি কর্মরত ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ আরকানসাস ফর মেডিক্যাল সায়ন্স-এ। সেখানে তিনি ডিপার্টমেন্ট অফ ফ্যামিলি অ্যান্ড প্রিভেনটিভ মেডিসিনের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর।
তিনি এবং তাঁর সহ গবেষকরা ১১ বছর ধরে ১৮৪৪টি পরিবারকে নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। সেখানে গবেষকরা প্রত্যেক পরিবারের গর্ভবতী মায়েদের নথিভুক্ত করেছেন। সন্তান হওয়ার আগে অবধি মায়েদের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে নিয়মিত। তাঁদের সন্তান জন্মানোর পর ১১ বছর ধরে নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়েছে। সব তথ্য মূল্যায়ন হয়েছে। এরপরই গবেষকরা ওই অমোঘ সিদ্ধান্তে পৌঁছন।
গবেষণাপত্র প্রকাশ করে তাঁরা জানিয়েছেন, আদর্শ বিধি হল গর্ভবতী মায়েদেরর মন খারাপ আছে কিনা তা নিয়মিত যাচাই করা জরুরি। সামান্য মানসিক অবসাদের চিহ্ন নজরে এলেই তা মেরামতি করা জরুরি। এতে ভবিষ্যতে সুস্থ সদ্যোজাতের জন্মই নিশ্চিত করা যায়। গবেষকরা দাবি করেছেন যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সামান্য মানসিক অবসাদ থাকা মায়েদের সন্তানদের ভবিষ্যতে বাড়বাড়ন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গিয়েছে। অভিভাকদের সন্তানদের নানান সমস্যা নিয়ে ভুগতে হয়েছে। কিন্ত্ত যে মায়েদের মানসিক অবসাদ চিহ্নিত হওয়ার পর দ্রুত নিরাময় হয়েছে, ওই মায়েদের সন্তানদের ক্ষেত্রে তেমন কোনও সমস্যা ছিল না।
ইতিমধ্যে এই গবেষণার ফলাফলে প্রবল সাড়া পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এই গবেষণার ফলাফল আরও নিবিঢ়ভাবে কাজে লাগানো জরুরি। এতে ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুস্থ জীবন সুনিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post